ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): জার্মানির রাজধানি বার্লিনে ইসরায়েলের সমালোচনা করে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। এ বিক্ষোভে অংশ নেন ইহুদিরাও৷ এসময় তারা ফিলিস্তিনের জনগনের প্রতি তাদের সমর্থন জানান এবং ইসরায়েলের সমালোচনা করা মানেই ‘ইহুদি বিদ্বেষ’ নয় বলে জানান৷ ফিলিস্তিনের সমর্থনে যখন বার্লিনে বিক্ষোভ চলছিল তখন একই সময়ে ইসরায়েলের সমর্থনেও জার্মানির রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ মানুষ৷
বার্ষিক আল-কুদস দিবস বা জেরুসালেম দিবসে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে ইসরায়েলের সমালোচনা করে জড়ো হন প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী৷ এসময় তাদের হাতে ‘ইসরায়েল শিশু হত্যাকারী’, ‘গাজাকে মুক্ত কর’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়৷ বিক্ষোভকারীরা ‘ইসরায়েলের সমালোচনা মানেই ইহুদি বিদ্বেষ নয়’ এ ধরনের স্লোগানও দিয়েছেন৷
আল-কুদস দিবসের এ সমাবেশটি ইসরায়েলের কোনো কর্মকান্ডের যৌক্তিক সমালোচনা করলে সেটি ইহুদি বিদ্বেষ হয় কিনা সে আলোচনাও সামনে এনেছে৷ তবে জার্মান ইহুদি বিদ্বেষ কমিশনার ফেলিক্স ক্লাইন বলেন, ‘‘২০১৯ সালে এসে ‘ইহুদি বিদ্বেষী’ স্লোগান শোনার বিষয়টি আসলে অপ্রত্যাশিত৷’’ গত সপ্তাহে ইহুদিদেরকে জনসম্মুখে কিপ্পা না পরার পরামর্শ দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি৷
এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যৌক্তিক সমালোচনা কোনভাবেই ইহুদি বিদ্বেষ হতে পারে না৷ সমাবেশটিতে অংশ নেয়া বার্লিনের বাসিন্দা অ্যামেরিকান ইহুদি টম (ছদ্মনাম) বলেন, ‘জার্মানিতে ইসরায়েলের সমালোচনার বিষয়টি স্পর্শকাতর৷’
তিনি বলেন ‘এই সমাবেশে অংশ নিয়ে আমি ফিলিস্তিনিদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে চাই, আমি দেখাতে চাই ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের বিষয়টি ইহুদি বিদ্বেষের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়৷’
সমাবেশে অংশ নেয়া নারী লাইলা এইচ (ছদ্মনাম) বলেন, ‘ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে বৈধতা দিতে ইহুদি বিদ্বেষ ধারণাটিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷’
এদিকে আল-কুদস দিবসে এই সমাবেশের প্রতিবাদে পাল্টা সমাবেশ করেছে নারিবাদী, এলজিবিটিসহ অন্যান্য পেশার মানুষ৷ সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা এ সময় ইরানবিরোধী স্লোগান দেয়াসহ হিজবুল্লাহ ও হামাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ পাশাপাশি, জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা৷
Leave a Reply